স্বদেশ ডেস্ক:
কুমিল্লায় এমরান হোসেন মুন্না (২৯) নামের এক যুবলীগ নেতা আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আগে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি একটি মেসেজ লিখে রেখে গেছেন। সেটিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মুন্না একটি অংশে তার স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন উষার (২৮) উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আর পাঁচটা মানুষের মতো আমার জীবন না, আমি আজ চলে যাইতেছি। মনে রাখিস, তোর বেইমানি ও পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা করলাম আমি…।’
জানা গেছে, এমরান হোসেন মুন্না কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বারপাড়া এলাকায় আত্মহত্যা করেন ওই যুবলীগ নেতা। নিহতের পরিবার জানায়, মুন্না নিজের শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবারের লোকজন আওয়াজ পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মুন্নার স্ত্রী উষার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মতিউর রহমান।
গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্ওয়ারুল আজিম। তিনি বলেছেন,‘পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এটা প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না।’
উল্লেখ্য, ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন মুন্না ও ঊষা। কিন্তু এক বছর না পার হতে তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি। ঊষা ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সেখানে আরেকটি সম্পর্কে জড়ান তিনি। নানাভাবে চেষ্টা করেও স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা করেন মুন্না।