মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

আদালতে পরীমনি

স্বদেশ ডেস্ক: মাদক মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে গেছেন চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি আদালতে হাজির হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে তিনি উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেবেন।

পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড: দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান জানান, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে পরীমনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হবেন। গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ঢাকার বনানীর ১২ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধার দেখানো হয়। তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এর বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন পরীমণি। এই আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরদিন আবেদন ‘আর্লি হিয়ারিং’ বা নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। এতে ফল না পেয়ে ২২ আগস্টের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি।

গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল দেন। রুলে জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জামিন আবেদনের শুনানি দ্রুত (আর্লি হিয়ারিং) তথা দুই দিনের মধ্যে করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেইসঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির দিন রাখা হয়। পরীমনিকে আদালতে হাজির করা ও রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে সেদিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেওয়ার কথা বলেন।

হাইকোর্টে আবেদনের ভাষ্য, তিন দফায় সাত দিনের মধ্যে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ও তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দীর্ঘ সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনগুরুত্ব বিষয়ে গুরুতর মামলায় আদালতের এত দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিতে দেখা যায়। পরীমণিকে এত দিনের রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার (আটক ও রিমান্ড-সংক্রান্ত) লঙ্ঘন।

উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর মঙ্গলবার জামিন পান তিনি। গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার সকালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877