স্বদেশ ডেস্ক:
কাবুল বিমানবন্দর সন্ত্রাসী হামলার ‘উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ। দেশগুলো আফগানিস্তানে থাকা তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দরে না আসার বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানে থাকা তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। যারা বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর গত ১০ দিনে আফগানিস্তান থেকে ৮২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকবলিত দেশটি থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সব বিদেশি এবং ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ। এখনো বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার মানুষ বিমানে দেশছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, তালেবান সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়াতে রাজি হয়নি। তবে বিদেশি এবং আফগানদের ৩১ আগস্টের পরও দেশছাড়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন বলেন, সন্ত্রাসী হামলার একটি চলমান এবং উচ্চ হুমকি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান করা আফগান এবং বিদেশিদের ওই এলাকা থেকে ‘দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য’ বলার পর এমন শঙ্কার কথা বললেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যও একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের বিমানবন্দর এলাকা থেকে ‘দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা’ করার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘এখনও অস্থিতিশীল’। সেখানে সন্ত্রাসী হামলার একটি চলমান এবং উচ্চ হুমকি রয়েছে।
এ তিনটি দেশের কেউই হামলার হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকার দখল নেয় তালেবান। ধীরে ধীরে তারা রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে। এর পর ১৫ আগস্ট তা দখলে নেয়। তখন থেকে ঝুঁকিতে থাকা আফগান এবং বিদেশিরা দেশছাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।