স্বদেশ ডেস্ক;
কান্দাহারও চলে গেছে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। আফগানিস্তানে গজনি-হেরাতের পর কান্দাহারেও উড়লো তালেবানের পতাকা। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ১২টি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিলো জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
যতই দিন গড়াচ্ছে, একটি একটি করে প্রধান প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকার। সবশেষ, গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনেই গজনি এবং দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১০টির বেশি নিজেদের দখলে নিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
এর আগে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাদাখসান প্রদেশের রাজধানী ফাইজাবাদের দখল নেয় তালেবান। হেরাত, গজনি ও ফাইজাবাদ ছাড়াও ফারাহ, পুল-ই-খুমরি, জারাঞ্জ, কুন্দুজ, তাকহার, সার-ই-পল, তালুকান ও সেবারঘান দখল করেছে তালেবান। হেরাত, গজনি ও ফাইজাবাদের পতনের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় আরেক শহর মাজার-ই-শরিফও।
এর মধ্যেই আফগানিস্তানে তালেবানের আগ্রাসন বাড়তে থাকায় দেশটিতে বসবাসরত মার্কিন নাগরিক ও দূতাবাস কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এ লক্ষ্যে শিগগিরই তিন হাজার মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, দূতাবাস বন্ধ বা সব কর্তকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার স্বার্থে অধিকাংশ দূতাবাস কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে দূতাবাস বেসামরিক নাগরিকদের চলাচলও সীমিত করা হচ্ছে।
এদিকে, আফগানিস্তানজুড়ে সংঘাতের মধ্যেই কাতারের রাজধানী দোহায়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় আফগান সরকার এবং তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার, আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
এতে সংঘাত বন্ধে দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার, একই বিষয়ে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকের কথা রয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের।