স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে চলতি সপ্তাহের শেষে মধ্যমেয়াদি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় বাড়তে পারে প্রধান নদ-নদীর পানি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, চলতি সপ্তাহের শেষে পদ্মা নদীর পানির সমতল দেশের মধ্যাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে মধ্যাঞ্চলের পাঁচটি জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের চার জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদি বন্যা।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া আমাদের সময়কে বলেন, ‘মূলত চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে কিংবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে দেশের মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, মধ্যাঞ্চলের পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষার্ধে অথবা তৃতীয় সপ্তাহের প্রথমার্ধে কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির সমতল আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ ও তৃতীয় সপ্তাহের প্রথমার্ধে বিশেষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ওই সময়ে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল কিছু স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং অববাহিকামুক্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার মনু ব্যতীত অন্যসব প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এর বাইরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির সমতল মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। তা ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।