স্বদেশ ডেস্ক:
পাকিস্তানে এবার বন্দুক হামলায় আহত হয়েছেন এক চীনা নাগরিক। দেশটির বন্দর নগরী করাচিতে বুধবার এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে একটি বাসে শক্তিশালী বিস্ফোরণে চীনের ৯ প্রকৌশলী নিহতের কয়েকদিন পরই ফের দেশটিতে চীনা নাগরিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে চড়ে এসে দুই চীনা নাগরিককে বহনকারী একটি গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে। ওই চীনা নাগরিকরা নিকটস্থ একটি কারখানায় কাজ করেন।
ওই চীনা নাগরিকের হাতে গুলি লাগে জানিয়ে করাচির পুলিশ প্রধান জাভেদ আকবর রিয়াজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, সৌভাগ্যবশত গুলির আঘাত প্রাণঘাতী ছিল না। ওই ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চীন এ ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ ধরনের ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে।
এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফ থেকে দেশটিতে কর্মরত চীনা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে এ ব্যাপারে আমরা পুরোপুরি আশাবাদী।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে একটি বাসে শক্তিশালী বিস্ফোরণে চীনের ৯ প্রকৌশলী নিহতের জেরে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দাসু নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করেছিল চীন।
চীনের সিজিজিসি নামে এক প্রতিষ্ঠান ওই বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের বাঁধের কাজ অসমাপ্ত রেখে পাকিস্তান ত্যাগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী।
এই বাঁধ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের সিপিইসি প্রকল্পের অংশ। এই ঘটনা সিপিইসি প্রকল্পের অন্যান্য কাজগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।এবার পাকিস্তানে সিপিইসি প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের সুরক্ষায় পাকিস্তানের উপর ভরসা না করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন।
এদিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিল চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান চীনের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দ্রুত স্বচ্ছ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ঘটনার তদন্ত সহায়তা এবং সমন্বয়ের জন্য তারা চীনের দূতাবাসের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রক্ষা করছেন।