স্বদেশ ডেস্ক:
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে হরতাল ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে লাইভে এসে আজ থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা কোম্পানীগঞ্জে সকাল সন্ধা হরতাল ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখ্যপাত্র ও মেয়র মির্জার ভাগনে মাহবুবুর রহমান মঞ্জু। একই সঙ্গে প্রতিটি বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার জন্যও সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের ইসলামি ব্যাংকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বাদললের সমর্থকদের অভিযোগ, শনিবার সকালে মেয়র কাদের মির্জা তার ৩০-৩৫ জন অনুসারী নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দিচ্ছিলেন। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মিজানুর রহমান বাদল ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়িটি বসুরহাট ইসলামি ব্যাংকের সামনে দাঁড়ালে কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা বাদল ও আলালের ওপর হামলা চালায়।
এসময় বাদলের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ও কানের একটি অংশ ছিড়ে যায়। পরে একজন অটোরিকশা চালক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় ও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, এখবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথা, চরএলাহী ও চরফকিরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকরা। বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন দিয়েছে বাদলের সমর্থকরা।
এ বিষয়ে কথা বলতে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি পুলিশকে জানান, আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীর ওপর হামলা চালানো হয়। নূর নবী চৌধুরী এখনও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।