সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

হেফাজত এখন কোন পথে

স্বদেশ ডেস্ক:

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে চলে ব্যাপক তা-ব। এর জেরে ৮৩টি মামলা হলেও হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বরং সরকার ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে পরবর্তী সময়ে এক ধরনের ‘সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। তবে শাপলা চত্বর তা-বের দীর্ঘ আট বছর পর এ দুই গোষ্ঠীর অমø-মধুর সে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত তিক্ততায় রূপ নিয়েছে। এখন সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে আছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম; কঠোর অবস্থানে অনড় রয়েছে সরকার।

সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ফের তা-ব চালায় অরাজনৈতিক এ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর হেফজতকে ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা আসে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে। নামে বেনামে হেফাজতের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা হয় মামলা। এর পরই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাসহ সারা দেশে সংগঠনটির নেতাকর্মী ধড়পাকড় শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। টানা অভিযানের মুখে গত ২৫ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সংগঠনটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। ওই দিন রাতেই ৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৫ মের মহামাবেশ কেন্দ্র করে দোকানপাট, সরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ফাঁড়ি, থানা ও গাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, হামলা, নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ৮৩টি মামলা করা হয়। গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর কেন্দ্র করে চালানো তা-বের ঘটনায় ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ১৪২টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তা-বের ঘটনায় ১২টি মামলা হয়। মোট ২৩৭টি মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় পৌনে দুই লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় হেফাজতের শীর্ষ স্থানীয় ২১ নেতাসহ সারাদেশে ৯০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্তে নেমেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়াই লক্ষ্য, জানিয়েছেন পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জনাতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘পেন্ডিং মামলাগুলোর চার্জশিট হতে এক মাসের মতো সময় লাগবে।’

শাপলা চত্বরে তা-ব এবং কৌশলগত সম্পর্ক

১৩ দফা দাবি আদায়ে হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয়। এ সমাবেশ কেন্দ্র করে ওইদিন দিনভর রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও বাগেরহাটে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয় রাজধানীতে। মতিঝিল শাপলা চত্বরের সমাবেশ কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তা-ব চালানো হয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রণক্ষেত্রে পরিণত করা হয় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা। পরে মধ্যরাতে চালানো যৌথ অভিযানে শাপলা চত্বরে অবস্থানরত হেফাজত কর্মীদের হটিয়ে দেয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সে সময় ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সেই সময়ের স্মৃতি হাতড়ে আমাদের সময়কে বলেন, ‘দুপুরের দিকে প্রথমে খবর পেলাম ডিসি ট্রাফিক পূর্ব অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দ্রুত বিশেষ টিম নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে দগ্ধ পুলিশ কনেস্টবল পিয়ারুলসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে মতিঝিল থানায় আটকেপড়াদের উদ্ধার করি।’

এদিকে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীসহ সাত জেলায় মোট ৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে তিন হাজার ৪১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮৪ হাজার ৭৯৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এসব মামলার মধ্যে শুধু বাগেরহাটে দায়ের হওয়া মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ বা প্রসিকিউটররা হত্যা চেষ্টা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে না পারায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুটি মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। বাকি মামলাগুলো দীর্ঘদিন স্থবির অবস্থায় ছিল। এ মামলার বেশিরভাগই তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীর দোলাইরপাড় বাসস্ট্যান্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। তখন শাপলা চত্বরে তা-বের ঘটনায় দায়ের হওয়া হেফাজতের নামে থাকা স্থবির মামলাগুলো ফের সচলের সিদ্ধান্তের কথা জানায় পুলিশ। কিন্তু তখন আর এগোয়নি তদন্ত।

গ্রেপ্তার অভিযান : সম্পর্কে তিক্ততার বার্তা

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর কেন্দ্র করে চালানো তা-ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসে হেফাজত। কারণ হেফাজতের কর্মসূচীকালে ১৮ জন নিহত হন। এর পর সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের বার্তা দেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটে গত ৩ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। মামুনুল হক দাবি করেন, তার সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এ নিয়ে আলোচনা, বলা ভালো সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন মামুনুল হক। এর পরই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ সংগঠনটির ১৭ নেতার নামে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামুনুল হকসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। মূলত এ ঘটনার কয়েকদিন পর থেকেই হেফজাতের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই ধড়পাকড় শুরু হলে পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত শেষে দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন পুলিশের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা। এর মধ্য দিয়ে হেফাজতের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরির বিষয়টি ফুটে ওঠে।

বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ দাবি করে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন হেফাজত নেতারা। এমন প্রেক্ষাপটে গত ১৯ এপ্রিল রাতে ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াওতে বিশ্বাস করে না; বরং হারাম মনে করে। এগুলোকে জায়েজই মনে করে না।’ ওই দিন রাতেই হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদীর নেতৃত্বে একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় যান। সেখানে গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধসহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন হেফাজত নেতারা। কিন্তু হেফাজত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে সংগঠনটিকে সরকারের কঠোর অবস্থানেরই বার্তা দেওয়া হয়। এহেন দশায় সহিংসতাকারীদের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু প্রভাবশালী নেতা পদত্যাগ করেন। এবং গণমাধ্যমের খবরের বরাতে জানা যায়, সংগঠনটির আরও অনেক নেতা পদত্যাগ করতে পারেন।

 

চাপে থাকা হেফাজতের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব

কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত চলমান নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২৫ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। হেফাজতের নতুন আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হন আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরী ও সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী, সদস্য আল্লামা সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী। এই আহ্বায়ক কমিটির সবাই জুনায়েদ বাবুনগরীর ঘনিষ্ঠ।

এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর সরব হন হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পূত্র আনাস মাদানীসহ তার অনুসারীরা। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন এ গ্রুপটি। সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আনাস মাদানী ও তার অনুসারীরা হেফাজতের আগামী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নেতৃত্ব দিতে চান। এ জন্য এ গ্রুপের নেতারা সরকার-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বর্তমানে দুই পক্ষই চাইছেন হেফাজতের নিয়ন্ত্রণে যেতে।

আনাস মাদানী সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তার গ্রুপে রয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শ্যালক ও মাওলানা মো. মঈনুদ্দীন রুহিসহ সাবেক কমিটির একটি বড় অংশ। তবে তাদের হটিয়ে বিলুপ্ত কমিটিতে স্থান করে নেন জুনায়েদ বাবুনগরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। জুনায়েদ বাবুনগরীসহ তার অনুসারীদের বেশিরভাগেরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের দলগুলোর নেতারাও রয়েছেন এ গ্রুপে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য, হেফাজতে ইসলামের আগামী কমিটিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনো নেতাকে দেখা যাবে না। কমিটি হবে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে। এখন, পাঁচ সদস্যের যে আহ্বায়ক কমিটি বিদ্যমান, তাতেও যে সব নেতা আছেন, তাদের রাজনৈতিক কোনো দলের পরিচয় বা পদ-পদবি নেই।

যা বলছেন দুই গ্রুপের নেতারা

এ বিষয়ে শফীপন্থি মাওলানা মো. মঈনুদ্দীন রুহি আমাদের সময়কে বলেন, ‘বিলুপ্ত কমিটির কিছু কার্যকলাপের জন্য এখন হেফাজত প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কাজের জন্য পুলিশের দৌড়ানির মধ্যে আমরাও আছি। আমাদের আগের কমিটি বিলুপ্ত না করেই আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কাজেই আমরা এখন আবার কমিটি ঘোষণা দেব। সেটা ঈদের আগেও হতে পারে, অথবা পরে।’

আহ্বায়ক কমিটির আহ্ববায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী এনামুল হক রিসিভ করেন। তিনি বলেন, আগের কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পর কোনো বৈঠক হয়নি। আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করার বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি।’

শফী হত্যা মামলার চার্জশিট

অপরদিকে, হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হক ও আজিজুলসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই। এ চার্জশিটকেও নিজেদের জন্য চাপ হিসেবে দেখছেন জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীরা। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আহমদ শফীর শ্যালক মাঈনুদ্দিন বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আহমদ শফীকে মানসিক নির্যাতন এবং তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877