স্বদেশ ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, সেটি বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সংগঠনটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসভবন ধানমন্ডিতে তার সাথে দেখা করেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ। সেখানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চারটি আবেদন জানানো হয়।
আবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের কারণে যেসব আলেম–ওলামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তি। দেশের আলেম–ওলামারা পবিত্র রমজান মাসে অজানা আতঙ্কে দিন পার করছে জানিয়ে তাদের গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও হয়রানি থেকে মুক্তির আহ্বান। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণগ্রেপ্তার চলছে উল্লেখ করে সেটি বন্ধে প্রশাসনের প্রতি বিনীত আহ্বান। ২০১৩ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছিল সেগুলো প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া এবং কওমি মাদ্রাসাগুলো দ্রুত খুলে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রত্যাশা করেন হেফাজত নেতারা।
হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদির নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান, বের হন রাত ১২টার দিকে।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন হেফাজত নেতা ও বেফাকের মহাসচিব মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, আতাউল্লাহ হাফিজি। মাহফুজুল হক কারাবন্দি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ভাই। বৈঠকের পর নুরুল ইসলাম জেহাদি সাংবাদিকেদের বলেন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মাদ্রাসাগুলো খুলে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তাদের।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনার পর সরকার হেফাজতে ইসলামের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়। মাসখানেক ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরপর একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে সর্বশেষ গত রোববার রাতেও হেফাজতের সাবেক দুই যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী ও মুফতি ফয়জুল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলেন।