মাত্রাতিরিক্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে ভারতে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭ ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। যেটি সনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে। অন্যদিকে এবার বাংলাদেশেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের (বি.১.৫২৫) অস্তিত্ব মিলেছে। দেশের দুটি বিভাগ থেকে মার্চ ও এপ্রিল মাসের সংগ্রহ করা নমুনার সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিআইএসএইড) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
এখন পর্যন্ত দেশের দুই বিভাগের ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক, এটি রোগীর জন্য কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা, জিএসএআইডি’র প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে করোনার নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৫২৫’র অস্তিত্ব মিলেছে। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের দুটি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জিনম সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ৬৭ হাজার ৫২৪ এর বেশি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিএসএআইডি)-তে প্রকাশ করেছেন।