স্বদেশ ডেস্ক:
স্বাধীনতার চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত। যারাই এই সরকারের বিরোধিতা করছে, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য ভয়ঙ্কর একটা শক্তি সরকারের আড়ালে থেকে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’ নামের দুটি সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য কী ছিল, চেতনা কী ছিল? গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর জেল থেকে বেরিয়ে যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, ওই স্টেটমেন্টেই বোঝা যায় ভয়ঙ্কর একটা শক্তি কাজ করছে, যারাই এই সরকারের বিরোধিতা করছে, যারাই রাষ্ট্রপ্রধানের বিরোধিতা করছে, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদ শুধু লেখার অপরাধে, কিশোরকে শুধু কার্টুন আঁকার অপরাধে নির্মমভাবে অত্যাচার করে মাসের পর মাস আটক রাখা হয়েছে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম কোথাও ছিল না। তিনবার এফআইআর করেও যখন নাম পাওয়া যায়নি, তখন আরেকজনকে ধার করে নিয়ে এসে নতুন করে অভিযোগপত্র তৈরি করে তাকে (তারেক রহমান) সেখানে আসামি দেখানো হয়েছে। এখন যেকোনো ঘটনা ঘটলে তার নাম দিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ সময় তিনি আরো দাবি করেন যে, সারা দেশে তার দলের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথা মামলা দেয়া হয়েছে। এখন তাদের রাস্তায় নামতে দেয়া হয় না। পথে বেরিয়ে কথা বলতে দেয়া হয় না।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মীর হেলালের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।