রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

অস্ত্র -পোশাকের ভয় দেখিয়ে সত্য আড়াল করা যাবে না : গয়েশ্বর

অস্ত্র -পোশাকের ভয় দেখিয়ে সত্য আড়াল করা যাবে না : গয়েশ্বর

স্বদেশ ডেস্ক:

অস্ত্র ও পোশাকের ভয় দেখিয়ে সত্য আড়াল করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক পথ আছে। উন্মুক্ত রাজপথে আন্দোলনে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। এ দেশের নিরস্ত্র জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছেন। তাদেরকে পরাজিত করে দেশের মাটিতে ফেরত পাঠিয়েছেন।

আজ শনিবার ‘লেখক ও সাংবাদিক মুশতাক আহমেদ এবং সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টার পর থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়। কদম ফোয়ারা, তোপখানা রোড ও সচিবালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলেন। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা নেতা কর্মীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিয়েছেন বলেও প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, গোলাম সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে আসলে গণতন্ত্রের প্রশাসনে যারা চাকরি করবেন, তারা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে জনগণের সামনে নিজেদেরকে হাজির করবেন। গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে, স্বৈরতন্ত্রের নায়িকা শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন জনগণের সেবা করা বাদ দিয়ে লাঠিচার্জ করেন, জনগণ বাধ্য হবে লাঠি কেড়ে নিতে। জনগণের দেশ জনগণ ডিসাইড করবেন, জনগণের গণতন্ত্র জনগণ ফিরিয়ে আনবে। এখানে কোনো মন্ত্র-তন্ত্র কাজে লাগবে না।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘আগামীকাল ৭ মার্চ। এদিনে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তি নির্মূলের যে সূচনা হয়েছে তা সারাদেশ দেখেছে। বাংলাদেশের লেখক, বুদ্ধিজীবীরা গ্রেপ্তার হন, বিনা বিচারে জেল থেকে লাশ হয়ে বের হন।

শুধু শেখ হাসিনার কথায় লেখক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক খুন হন না। শেখ হাসিনাকে যারা লালনপালন করেন, বাংলাদেশকে যারা শোষণ করেন, তাদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছার ওপর বাংলাদেশের অনেকেরই ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশ বাংলাদেশের জায়গায় নেই, বাংলাদেশ দিল্লির শৃঙ্খলে আবদ্ধ। সবাই মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। এই স্বাধীনতা ভোগ করতে চাইলে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এক কাতারে সামিল হতে হবে। যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করে তাদেরকে পাকিস্তানিদের মতো পরাজিত করে যার যার ঘরে পাঠিয়ে দিতে হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877