স্বদেশ ডেস্ক:
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল চলছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ হরতাল কর্মসূচি চলবে।
ফেনী ও নোয়াখালীর দুই সাংসদের অপরাজনীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সকাল ছয়টা থেকে হরতাল চলছে। মির্জা মূলত নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার এবং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মসূচি দেন।
হরতালে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস-ট্রাক ছেড়ে যায়নি এবং বাইরে থেকে কোনো বাস-ট্রাক কোম্পানীগঞ্জে আসেনি। বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা রুটের সকল বাস। তবে সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
হরতালের সমর্থনে মেয়র কাদের মির্জা সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করছেন। অপরদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়সমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল রনি জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এর আগে এসব দাবিতে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন কাদের মির্জা। রাতভর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। রাতে একপর্যায়ে তিনি বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোম্পানীগঞ্জে হরতালের ডাক দেন। পরে গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি অবস্থান কর্মসূচি ও লাগাতার হরতাল সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেন।
তখন কাদের মির্জা বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমি আজকের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। তবে আমার দাবি যদি মানা না হয়, তাহলে আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আবার হরতাল পালন করা হবে। এরপরও যদি দাবি মানা না হয় তাহলে পরদিন সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালনসহ আবারও থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।