স্বদেশ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দেশের সকল মহানগর ও জেলা সদরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র ভার্চুয়াল সভায় বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনার পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুয়া ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ১০ জন নেতা-কর্মী এবং পাবনায় ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েসি সাজা প্রদান ও দলের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে অযথা কারাগারে প্রেরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সভায়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশের সকল মহানগর ও জেলা সদরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। সভায় আলজাজিরা টেলিভিশনে দেশ ও দেশের স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রচারিত রিপোর্ট সম্পর্কে জনমনে উত্থাপিত উৎকণ্ঠা অবসানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা প্রকাশের যে দাবি বিএনপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল- তা এখনও না জানানোর নিন্দা জানিয়ে শিগগিরিই দলের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় এন.এস.আই-এর পক্ষ থেকে বিশেষ করে বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য যে ফরম পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাকে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের প্রয়াস বলে চিহ্নিত করে ব্যক্তি ও রাজনৈতিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী এমন তৎপরতা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। সভায় মায়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল ও জরুরি অবস্থা জারির নিন্দা জানিয়ে শিগগিরই প্রতিবেশী দেশের জনগণ তাদের দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত গণতন্ত্র ফিরে পাবে- সেই আশা ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত এক স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থাকায় গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অসহনীয় যাতনার অভিজ্ঞতা থেকেই মানায়নারের গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে একাত্ম।