স্বদেশ ডেস্ক: সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা মুনাওয়ারা নবীর শহর। বিশ্ব মুসলিমের ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্পন্দন এ শহর। বিশ্বের অনন্য সুন্দর শহরের মধ্যে অন্যতম শহর মদিনা। পবিত্র এই নগরীকে বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত শহর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রতিনিধি দল মদিনা শহর পরিদর্শন করে জানায়, স্বাস্থ্যকর শহরের বৈশ্বিক মানদণ্ডের সবই বাস্তবায়ন আছে এই মদিনা মনোয়ারায়।
পবিত্র এই নগরীতে বাস করেন ২০ লাখ মানুষ। রাতে আলোকসজ্জা ছাড়াই মদিনাকে সাধারণ আলোয় এক অনন্য আলোকসজ্জার শহর মনে হয়। মদিনা শহরের সৌন্দর্যকে অলংকৃত করেছে মসজিদে নববী। এ ছাড়া মদিনার সুপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে, মনে হবে ছবির মতো সাজানো। মসজিদে নববী ছাড়াও এ শহরে রয়েছে মদিনার প্রথম মসজিদ- মসজিদে কুবা এবং কিবলা পরিবর্তনের মসজিদ- মসজিদে কিবলাতাইন। এই মদিনা নগরী এবার বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর নগরীর মর্যাদা পেয়েছে।
মদিনাই প্রথম ঘনবসতিপূর্ণ নগরী, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর শহরের মর্যাদা লাভ করলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীরা আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে নগরীটিকে জরিপ করে এ স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২২টিরও বেশি সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ জরিপ কাজে সহায়তা করেছে। এসব সংস্থাকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করে স্থানীয় তায়্যিবা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ড. আবদুল আজিজ আসারানি ২২টি সরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, দাতব্য সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একশ’ প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে কাজ করেন।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় থাকা এটিই প্রথম জনবহুল শহর।
প্রসঙ্গত, ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাতৃভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। নবী করিম (সা.)-এর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা নিজ শহরের নাম বদলে ফেলে রাখলেন মদিনাতুন নবী অর্থাৎ নবীর শহর। এই নগরীতেই মহানবী তার জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেষ ১০ বছর কাটিয়েছেন।