স্বদেশ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশে কোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি না করলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ নির্দেশ না দিলে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার রিফাত শরীফকে ভাগ্যবান বলেও মনে করছেন রুমিন ফারহানা। কারণ তাকে হত্যার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনযোগ আকর্ষণের নোটিশে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘কোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি না করলে এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশ না দিলে প্রশাসন গা করে না। বরগুনায় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার রিফাত শরীফ ভাগ্যবান। কারণ তাকে হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে।’
রুমিন বলেন, ‘গত একমাসে ২২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ওইসব হত্যাকারীদের ধরতে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকার ফলে পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। তাদের যাবতীয় মুরোদ দেখা যায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা গ্রেপ্তার, নির্যাতন আর কারাগারে প্রেরণের মধ্য দিয়ে।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের একটি রুটিন কাজ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি না করে এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশ না দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটার প্রতি প্রশাসনের তেমন কোনো মনোযোগ থাকে না। ঘটনা ঘটলেই এখন দেখতে পাই, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই”। প্রধানমন্ত্রী তো নির্বাহী বিভাগের প্রধান। বিচার করার জন্য আইন, আদালত, বিচার বিভাগ আছে। বিচার চাইতেই বা হবে কেন? যদি পুলিশ, প্রশাসন, আদালত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে বিচার চাইবার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।‘
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন বলেন, ‘সম্প্রতি বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য তৈরির পর প্রধানমন্ত্রী খুনিদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ অপরাধীদের ধরার কথা পুলিশের, এটা তাদের রুটিন কাজ। এজন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে থাকে।’
রুমিন আরও বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে সম্ভবত ক্ষমতাশালীরা জড়িত ছিল। যে কারণে ৬৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে। সম্ভবত এই হত্যার সাথে এমন সব ক্ষমতাসীনরা জড়িত যাদের ধরার ক্ষমতা সরকারের নেই। বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড ছিল বীভৎস একটি ঘটনা। এতে ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত বলে মূল আসামিরা মৃত্যুদণ্ডের বাইরে থেকে যায়। ইতিমধ্যে খবর আসছে, রিফাত হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সহসভাপতি অত্যন্ত তৎপর আছেন। জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন ক্ষমতায় থাকার ফলস্বরূপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে।’