স্বদেশ ডেস্ক: জামরুল অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এটির শাঁস হালকা অর্থাৎ নিরেট নয় এবং কেন্দ্রে একটি বীজ ধারণ করে। ফলটি সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপি, লাল এবং কালো বর্ণের হয়ে থাকে। জামরুল হজমশক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটির বিচি ডায়রিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামরুল দারুণ কার্যকর। নিয়মিত জামরুল খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে যায় না। জামরুলে আছে ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান।
তাই নিয়মিত জামরুল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে জামরুল। অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকিও কমে আসে উল্লেখযোগ্য হারে। কার্ডিওভাসকুলার বিষয়ক জটিলতা হ্রাস পায়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও করোনারি রোগের ঝুঁকিও কমে জামরুল খেলে। মস্তিষ্ক ও লিভার সুস্থ রাখতে এটি টনিক হিসেবে কাজ করে। জামরুল বাত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘুম না হওয়া কিংবা দুশ্চিন্তায় যাদের চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, তারা সেই কালি দূর করতে নিয়মিত একটি করে জামরুল খেয়ে দেখতে পারেন। জামরুলের শক্তিশালী উপাদানগুলো জীবাণু ও ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভূমিকা রাখে জামরুল। এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত উপাদান ঘুরে বেড়ায়। শত শত বছর ধরে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে বের করে দিতে জামরুল কাযর্কারী ভূমিকা রাখে।