স্পোর্টস ডেস্ক: চেষ্টার সবকুটুই করেছে পাকিস্তান। কিন্তু কাল হয়ে দাঁড়ালো রান রেট। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় এবারের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলা হলো না দলটির। বেজে গেলো বিদায় ঘণ্টা। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থারের মতে, পয়েন্টের পাশাপাশি ‘হেড টু হেড’ নির্ণায়ক ধরা হলে টুর্নামেন্টের শেষ চারে যেতে পারতো তার দল।
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শুক্রবার বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারায় পাকিস্তান। লিগ পর্বের নয় ম্যাচ শেষে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চমস্থানে উঠে আসে সরফরাজ আহমেদের দল। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় পরের রাউন্ডে যেতে পেরেছে দলটি।
আর্থার মতে, নেট রান রেটের তুলনায় হেড টু হেড নির্ণায়ক হলে সেটা তার দলের জন্য ভালো হতো- “আইসিসি নেট রান রেটের বদলে হেড টু হেড রেকর্ডকে নির্ণায়ক করলে আজ আমরা সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যেতাম। আমার মনে হয় এদিকে একটু নজর দেওয়া উচিত ছিল।”
হেড টু হেড নির্ণায়কের যৌক্তিকতা দেখিয়ে আর্থার বলেন, “ম্যাচ জয়ের সংখ্যা তারপর হেড টু হেডকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল। সবশেষে তিনটি দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলে সেক্ষেত্রে নেট রান রেট বিচার্য বিষয় হিসেবে গণ্য হতো।”
পাকিস্তান কোচের মতে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শোচনীয় হারই তাদের রান রেটের প্রশ্নে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। ওই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এককথায় অসম্ভব। তাই পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের মতো হেভিওয়েট দলকে হারিয়ে মোমেন্টাম ফিরে পেলেও নেট রান রেট আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি। যা খুবই হতাশার।
উল্লেখ্য ভারতের বিপক্ষে হারের পর পরের চার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে হারায় পাকিস্তান। নেট রান রেটের ব্যবধান ঘুচিয়ে আনতে পারেনি দলটি।