স্বদেশ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রথম সপ্তাহে প্রায় দেড় লাখ লোককে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাদান সংক্রান্ত (ভ্যাকসিন রোলআউট) দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী নাদিম জাহাওয়ী গতকাল জানিয়েছেন, ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফাইজার/বায়োএনটেকের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১,৩৭,৮৯৭ জনকে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে ১০৮,০০০, ওয়েলসে ৭,৮৯৭, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৪,০০০ এবং স্কটল্যান্ডে ১৮,০০০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এটিকে তিনি সফল কর্ম প্রয়াসের শুভ সূচনা বলে অভিহিত করেছেন।
প্রথম সপ্তাহে ৭০টিরও বেশি হাসপাতাল ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল। আরও ১০টিতে এই সপ্তাহে শুরু হবে। সপ্তাহান্তে জিপি দ্বারা পরিচালিত ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে। আসন্ন সপ্তাহগুলোতে আরও ১০০০ স্থানে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, এটি আমাদের সূচনা এবং আমরা টিকাদান কার্যক্রমকে অবিচ্ছিন্নভাবে প্রসারিত করবো। যাতে দ্রুততম সময়ে সবাইকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। প্রথমে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের এবং কিছু হেল্থ অ্যান্ড কেয়ার স্টাফদের টিকা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা প্রদানও শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিন সমূহ আল্ট্রা-কোল্ড স্টোরেজে বড় ব্যাচে রাখতে হবে। কীভাবে নিরাপদে কেয়ার হোমে নেয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে এনএইচএস নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ন্যাশনাল অডিট অফিস কমপ্লেক্স লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। এতে বলা হয়েছে, সরকার পঞ্চাশেরও বেশি বয়স্ক এবং কম বয়স্কদের শারীরিক অবস্থার আলোকে ভ্যাকসিন প্রদানেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাসপাতালগুলো এবং জিপি পরিচালিত স্থানীয় ক্লিনিকগুলো তাদের নিজস্ব কাজের পর এতে খুব একটা সক্ষম হবে না। সরকারকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তা সম্পন্ন করতে হবে। এই স্কেলে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য হাজার হাজার অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হবে।