স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ বন্ধে নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট নয় দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। নির্দেশনাগুলো হলো- ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে, রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পর গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা, পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া চলমান সব টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা এবং মার্কেট/দোকানগুলোয় প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা এবং সেগুলো অপসারণ নিশ্চিতে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নেওয়া।
রিটকারী সংগঠনের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবার সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহর হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদ যুক্ত করে বায়ুদূষণ বন্ধে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে ১৫ নভেম্বর আবেদন করা হয়। এ আবেদনের ওপর ১৭ ও ২৩ নভেম্বর শুনানি হয়। আদেশে আদালত বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের যে বর্ণনা আছে তা সবার জন্য ভয়াবহ। পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণ না হয়, তবে তা নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকার খর্ব করতে পারে। আদালত বিবাদীদের নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।