স্বদেশ ডেস্ক:
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা অর্থপাচারের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন।
গত ২ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তার দেখানোর এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছে।
আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন। আসামিরা বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর প্রয়োজন। এ অবস্থায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ওইদিন আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ ১০ নভেম্বর ধার্য করেন। এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর সম্রাটের পক্ষে তার আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন (হীরা) জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এদিকে এদিন আরমানের জামিন আবেদন করা হলে আদালত বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান।