স্বদেশ ডেস্ক:
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ছিলেন বগুড়া শহরের রহমাননগরের রশিদুল ইসলাম (৩২)। মানুষের জীবন বাঁচাতে তিনি অনলাইনে ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করে দিতেন। এলাকায় পুরুষ কেউ মারা গেলে মরদেহ গোসল করানোর জন্য ডাক পড়ত তার। এ ছাড়াও করোনাকালে কেউ মারা গেলে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মরদেহ দাফন করার দায়িত্ব নিতেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রশিদুল করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজের মোটরসাইকেল বিক্রি করে অসহায় মানুষের খাদ্য সহায়তা করেছেন। আর সেই যুবকই খুন হলেন কিশোর গাংয়ের ছুরিকাঘাতে।
এ সময় তার ভগ্নিপতি বছির ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় হামলার শিকার হন তারা। নিহত রশিদুল শহরের রহমাননগর এলাকার মৃত জাহেদুল ইসলাম লালুর ছেলে। তিনি শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জব্বার ক্লাব মোড়ে ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি একাধিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার পরপরই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জানা গেছে, রশিদুলের ভাগ্নে শান্ত (১২) টাউন স্কুল মাঠে খেলাধুলা করছিল। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক সদস্য তাকে মারধর করে। ঘটনার সময় রশিদুল রিকশাযোগে টাউন স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। রিকশা থেকে নেমে মারধরকারী কিশোরদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তার ভগ্নিপতি বছির ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায় দুই কিশোর রশিদুলের পিঠে এবং বছিরের হাতে ও উরুতে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে চারটায় রশিদুল মারা যান।