স্বদেশ ডেস্ক:
করোনা মহামারীতে বন্ধ থাকার পর প্রায় মাসখানেক আগে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু হয়েছে ভারতে। কিন্তু এখনো দেশটির ভ্রমণ নির্দেশনা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। এর কারণ হলো-রাজ্যগুলো নিজেরা নিজেদের মতো ভ্রমণ উপদেশ দিচ্ছে এবং যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টিন নীতিও বারবার বদলাচ্ছে।
বেশিরভাগ রাজ্যই উপসর্গযুক্ত যাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কথা বলছে। কোনো কোনো রাজ্য অবশ্য বাড়তি পদক্ষেপ হিসেবে স্বেচ্ছা-অন্তরীণ নীতিও জারি করেছে।
ভারতের কোন রাজ্যে বা শহরে কেমন কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ জারি আছে, এ নিয়ে বিবিসি গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দিল্লি : দিল্লিতে ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের সবচেয়ে বড় করোনা হটস্পট হলো এই রাজধানী। উপসর্গবিহীন হলেও যারা দিল্লিতে ঢুকবে, তাদের এক সপ্তাহের জন্য স্বেচ্ছা-সঙ্গরোধ অবস্থায় থাকতে হবে নিজ বাড়িতে। যদি এ সময় উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অবশ্যই তা জানাতে হবে।
যেসব যাত্রী উপসর্গ নিয়ে দিল্লিতে ঢুকবে তাদের কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হবে। যদি লক্ষণ গুরুতর হয় তা হলে তাদের করোনাকেন্দ্রে নেওয়া হবে।
মুম্বাই : ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ৭৬ হাজারের মতো করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন চার হাজার তিনশর বেশি। উপসর্গবিহীন যাত্রীদের জন্য নিজ বাড়িতে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। লক্ষণ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে।
লক্ষণবিহীন যাত্রী যারা মাত্র সাত দিনের জন্য শহরটিতে ঢুকবে, তাদের কোনো ধরনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে না।
কলকাতা : মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়– থেকে যারা কলকাতায় যাবেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। অন্য রাজ্যগুলো থেকে বিনা উপসর্গ নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের বেলায় দুই সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্গালুরু : এই শহরে দুই হাজার ছয়শর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৯ জন। ৫ জুলাই থেকে পুরোপুরি লকডাইনে যাবে কর্নাটক রাজ্য। মহারাষ্ট্র থেকে কেউ সেখানে গেলে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, এর পর আরও দুই সপ্তাহ স্বেচ্ছা অভ্যন্তরীণে থাকা লাগবে।
দিল্লি ও চেন্নাই থেকে গেলে তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে পরিবর্তিত নিয়মে এ নির্দেশনা থাকছে না। অন্য যে কোনো রাজ্য থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে গেলে ১৪ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।