স্বদেশ ডেস্ক:
বগুড়ার শিবগঞ্জে থানায় ঢুকে পুলিশ কনস্টেবলকে মারপিট করার অভিযোগে বাবা-ছেলেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ থানা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার লালদহ কালীপাড়া মহল্লার ব্যবসায়ী তছকিন উদ্দিন (৬০), তার ছেলে ব্যাংকার তৌহিদুল ইসলাম মুহিত (৩০), একই এলাকার হারুন উর রশিদ (৪৫) এবং নাটমরিচাই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে হাফিজার রহমান (৩৪)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভ্যন্তরে বেশকিছু আম ও কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সেখান থেকে ফল চুরি করে নিয়ে যায় পাশের গ্রামের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তারক নাথ কুন্ডু থানায় অভিযোগ দেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে যান। তিনি হাসপাতাল সংলগ্ন লালদহ কালীপাড়ায় গিয়ে কয়েকজনকে ডেকে হাসপাতাল চত্বর থেকে যেন কেউ ফল চুরি না করে তা দেখার দায়িত্ব দিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা দেন। ওই পাড়া থেকে তিনি বের হওয়ার পরপরই কালিপড়ার লোকজন হাসপাতালের দেয়াল টপকিয়ে আবারও ভিতরে প্রবেশ করে হাসপাতালের ডাক্তারদের বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং থানায় অভিযোগ করার কারণে ওই চিকিৎসকদের গালিগালাজ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ আবার কালিপাড়ায় যায়। এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা মুহিতের নেতৃত্বে অর্ধশত নারী-পুরুষ পুলিশকে ঘেরাও করে রাখে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং মুহিত (৩৪), হাফিজার (৩০) ও হারুন উর রশিদ নামের তিনজনকে আটক করে থানায় আনেন।
সন্ধ্যার দিকে মুহিতের বাবা তছকিন লোকমুখে খবর পান, তার ছেলেকে থানায় মারধর করা হচ্ছে। এ খবর শুনে তছকিন থানায় গেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য তার পরিচয় জানতে চান। এ সময় তছকিন ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে আটক করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় বুধবার রাতে থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বাবা-ছেলেসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’