কোভিড-১৯ মহামারিতে সারাবিশ্ব এখন ঝুঁকির রয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্ত বাড়ছে, মানুষ পরিণত হচ্ছে সংখ্যায় থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। শুধু তাই নয় এখন করোনাভাইরাসে হুমকিতে পড়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বিশ্বজুড়ে ২০২০ সালে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ শিশুর জীবনরক্ষায় প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্যা টেলিগ্রাফ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বরাত দিয়ে বিষয়টি জানা যায়। এর আগে ২০১৮ সালেও বিপুলসংখ্যক শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়নি।
এদিকে এ বিষয়ে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে সতর্কবার্তা জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিভিন্ন দেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশি শিশুর বাধ্যতামূলক টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে শিশুরা দুর্বল স্বাস্থ্যসহ আক্রান্ত হতে পারে হাম, পোলিওসহ অন্যান্য রোগে।
পরিসংখ্যান বলছে, এই হুমকি কেবল দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নয়। বরং উন্নত রাষ্ট্রগুলোও টিকার ঝুকিতে রয়েছে।
এমনকি যুক্তরাজ্যের শিশুদের প্রথম ডোজের হাম টিকা গ্রহণের অনুপাত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাজ্য টিকা প্রদানের তালিকায় বর্তমানে প্রথম তিনটি নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক সাচা দেশমুখ বলেন, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে হাম প্রাদুর্ভাবের ঝুকিতে রয়েছে। বর্তমান স্বাস্থ্য সংকটে রুটিন ভ্যাকসিন সেবা ব্যাহত হলে দেশটিতে শিশুদের হামের ঝুকি বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, এখন দেশের সরকারের উচিত শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদানে বাবা-মাদের সহায়তা করা।
তবে ইউনিসেফের মতে একইসাথে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইথিয়পীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশু হামের প্রথম ডোজ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দেশটিতে গত ২০১৮ সালে প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ এক বছরের কম বয়সী শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয়নি। ২০২০ সালে ওই সংখ্যা কমেনি।
ইবোলা প্রাদুর্ভাব দেশ কঙ্গোতে গতবছর ২০১৯ সালে প্রায় দুই হাজার ২৪২ জন শিশু হাম রোগে মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন যোগান সম্ভব হয়নি।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ শিশু রুটিন টিকা হতে বঞ্চিত হয়েছে।
করোনাভাইরাসে ফলে টিকা প্রদানে সারাবিশ্ব প্রায় এক দশক পিছিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সূত্র : দ্যা টেলিগ্রাফ