করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগে দীর্ঘদিন থেকে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জরুরি বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তিতে অনলাইনে কিভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে অনলাইন সেমিনার করেছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। ‘ভার্চুয়াল অপরেশন অব জুডিশিয়ারি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইনে করা এ সেমিনারে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদকসহ ৫ জন আইনজীবী অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনায় অন্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান এটা করেছে। এরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। উন্নত বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, ইউএসএ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট বন্ধ থাকায় আইনজীবীরা পেশাগতভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন এর মধ্য থেকে আমাদের একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, প্রধান বিচারপতির সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, আমি ওনাকে প্রধান বিচারপতি আমার এই ধরনের ভার্চুয়াল জুডিশিয়ারি সিস্টেম চালু করার জন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সে বিষয়ে তুলে ধরেছি। আমরা যা কিছু বলি না কেন এটা কার্যকর হবে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে কিংবা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মাধ্যমে। এখানে কতগুলো প্রতিবন্ধকতার কথা প্রধান বিচারপতি আমাকে বলেছেন। সেগুলো হলো হাইকোর্ট রুলসে আছে কোনো মামলা করতে গেলে তা হবে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে। আমরা যে ভার্চুয়াল সিস্টেম চাচ্ছি তার বড় বাধা হাইকোর্ট রুলস। সুতরাং সেটা সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, কোর্ট ছুটির মধ্যে শেষ দিন একটি বেঞ্চ বলেছিলেন আইনজীবী ছাড়া শুনানি করবেন। কোর্ট বলেছেন আপনারা দরখাস্ত দিয়ে যাবেন। দরকার হলে আইনজীবীর সাথে আমরা কথা বলব। এটা একটা বড় ধরনের পদক্ষেপ।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে এও বলেছি দরখাস্ত আমরা একটা জায়গায় রেখে আসব, ছোটখাটো জামিনের দরখাস্ত বা সাংবিধানিক কোনো বিষয়। আপনি কোনো বিচারপতিকে এটা অ্যাসাইন করে দিতে পারেন কিনা। উনি অত্যন্ত সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন তিনি সহকর্মীদের সাথে বসে এসব বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে সরকারের একটি বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই সঙ্কটময় মুহূর্তে অনলাইনে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দ্রুত একটি সিস্টেম দাঁড় করানোর দরকার।