২০০৮ ওলিম্পিকসে ১০০ মিটারে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছিলেন উসেইন বোল্ট। সেই স্মরণীয় দৌড়ে জামাইকান স্পিডস্টার যখন ফিনিশিং মার্ক স্পর্শ করেন, তখন নিকটতম তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তার ব্যবধান তৈরি হয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েক হাতের। অন্তর্বর্তী সেই বিরাট দূরত্ব আবার আলোচনায় ফিরে এসেছে দীর্ঘ এক যুগ পর। করোনার সৌজন্যে!
আসলে বর্তমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কের আবহে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিদান দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মারণ ভাইরাস রোধের সেটাই একমাত্র উপায়। আর এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদাহরণ হিসেবে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকসে নিজের সেই বিখ্যাত ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করেছেন স্বয়ং উসেইন বোল্ট। ছবির নিচে মজা করে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’।
বেইজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে বোল্টের এই ছবিটি তুলেছিলেন এএফপি’র চিত্র সাংবাদিক নিকোলাস অ্যাসফুরি। সোশ্যাল সাইটে নিকোলাসের তোলা সেই ছবি পাঁচ লাখেরও বেশি লাইক পেয়েছে। ৯০ হাজারের মতো রিট্যুইটও হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেইজিং অলিম্পিকসে পুরুষদের ১০০ মিটার ফাইনালে ৯.৬৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। তারপর ২০০ মিটারেও বাকিদের অনেকটা পিছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ২০০ মিটারের সেই ছবিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ক্রিস্টোফার। তিনি আবার ক্যাপশন লিখেছেন ‘সেল্ফ আইসোলেশন’। জোড়া সোনা জেতার পর তীরধনুক ছোঁড়ার ঢঙে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন বোল্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিটিও ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’ এবং ‘সেল্ফ আইসোলেশন’ ছবির পাশে জুড়ে দিয়ে রিট্যুইট করেছেন কেউ কেউ।
আটটি ওলিম্পিক সোনা ঝুলিতে নিয়ে ২০১৭ সালে ট্র্যাক থেকে অবসর নেন বোল্ট। ৩৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি অ্যাথলিট এখন স্বেচ্ছা গৃহবন্দি রয়েছেন করোনার জেরে। দেশের মানুষদেরও তার মতো গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ঘরে থেকেই শরীরচর্চা ও বন্ধুদের সঙ্গে ফান ফুটবল খেলে সময় কাটাচ্ছেন জামাইকান বিদ্যুৎ। পাশাপাশি সঙ্কটকালে দরিদ্র মানুষদের সাহায্যার্থে ত্রাণ তহবিল গঠনেও উদ্যোগী হয়েছেন বোল্ট।
সূত্র : বর্তমান