করোনাভাইরাসে দেশে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৯ জন। করোনা সন্দেহে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫৩টি।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য দেন। বিস্তারিত তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বর্তমানে ফোনে ১২ হাজার ৭৭৯ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ে। দৈনিক দুই হাজার ১০০ চিকিৎসক বিনামূল্যে মানুষের সেবা দিচ্ছেন। গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে ৭৬ হাজার ৮০৩টি ফোন কল এসেছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজনের বয়স ৯০ বছর। অন্য একজনের বয়স ৬৮ বছর। এদের একজনের স্ট্রোকের ইতিহাস রয়েছে এবং তার বুকে স্ট্যান্টিং করা ছিল।
নতুন করে আক্রান্ত ৯ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৭০ জন। আজো আরো চারজন করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনাভাইরাস থেকে মোট মুক্ত হয়েছেন ৩০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে ৩২ জন।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, যে ৩২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন এদের ২০ জনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অবশিষ্ট ১২ জনকে।
এবার সর্দি ও কাশি থাকলে নিজেরাই কিছু ওষুধ কিনে খেতে পারবেন বলে জানালেন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সামান্য জ্বর, সর্দি ও কাশির জন্য হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। সর্দি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন খাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। সাথে গরম পানি পান করার কথা বলেছেন তিনি। এতে ভালো না হলে হাসপাতালে পৃথক জ্বর ও সর্দি-কাশির বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
হাসপাতালের বহি: বিভাগের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীদের মধ্যে করোনা সন্দেহ করলে টেস্ট করে নিশ্চিত হলে তাকে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠাবেন।
তিনি জানান, এখন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং নিকটতম পরীক্ষা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেসরকারি হাসপাতালের নেতৃবৃন্দকে ডেকে নিয়ে বলা হয়েছে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে। তারা চিকিৎসা কার্যক্রম না চালালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।