সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য : তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য : তথ্যমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশের ওপর যেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই মানবাধিকারের কি পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার প্রয়োজন ও অধিকার রয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের তথ্য উপাত্ত নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেই সমস্ত সংগঠনগুলো ইতিপূর্বেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা ইতিপূর্বেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর একপেশে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদেরই তথ্য উপাত্ত নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেটি অগ্রহণযোগ্য।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মাদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আসলাম খাঁন, আক্তার কামাল চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, লোকমানুল হক তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুল কবির গিয়াসু, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউমান রাইটস রিপোর্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। সুতরাং যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, তাদের থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যে রিপোর্ট সেটিও গ্রহণযোগ্য নয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের হিউম্যান রাইটসের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার। সেই কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছে, রায়ও কার্যকর করেছে এবং বিচার কার্যক্রম চলছে। অথচ এরকম সর্বগ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রশ্ন তুলেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবছরের প্রথম দিন পহেলা জানুয়ারি নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেককে গ্রেফতার করে। তাদের দেশে যেই পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার অধিকার রয়েছে এবং জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা সময় এধরণের রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্টে মোটিভেটেড রিপোর্ট থাকে। সুতরাং এবারো যেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এটি একপেশে এবং অগ্রহণযোগ্য। আমরা কোনোভাবেই এই রিপোর্টকে গ্রহণ করতে পারি না।

ইদানিংকালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একপেশে রিপোর্ট দেখতে পাচ্ছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা এইক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে চাই। আমাদের এই কার্র্যক্রম আরো দৃঢ় করতে চাই।

সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার, যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, তাঁতীলীগ আহবায়ক মোরশেদ তালুকদার, ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পলাশী মুৎসুদ্দী, যুব মহিলা লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট রাহেলা চৌধুরী রেখা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877