টাঙ্গাইলের দুই যুবলীগ নেতা মামুন ও শামীম হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুর রহমান রানাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সাবেক এই এমপির জামিন বিষয়ে ইতিপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বুধবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ৬ মার্চ এ মামলায় রানাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় তাকে স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেই রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা সাংসদ আমানুরের দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।