স্বদেশ ডেস্ক: ময়মনসিংহের ভালুকায় সালাউদ্দিন সরকার ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যূতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেল করেছেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার ইসলাম উদ্দিন মাতাব্বর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৬ জানুয়ারী রাতে ফোনে তাকে বাড়ি থেকে বের করে গেইটের সামনেই তার মাথায় দুটি পিস্তল ঠেকিয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে হাত পা চোখ বেঁধে ফেলে। কোনো প্রকার চিৎকার চেচামেচি করার সুযোগ দেয়নি। গাড়িতে করে কিছুদূর নিয়ে তাকে একটি বাড়ির দ্বিতলভবনে উঠানো হয়। পরে চোখ-মুখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে বেধরক পিটুনি দেয় সালাউদ্দিনের লোকজন। এতে তার অবস্থার অবনতি দেখে জ্ঞান ফিরাতে মাথায় পানি দেয়। এ সময় আমি স্থানীয় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সরকার ও তার পালিত ক্যাডার সাদ্দাম হোসেন ও আনোয়ারের সলা-পরামর্শ শুনে তাদের আমি চিনতে পারি। এক পর্যায়ে তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, অন্যথায় গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে আমার চোখ বাঁধা অবস্থায় আমার বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে এক লক্ষ টাকা ম্যানেজ করে দেয়ার সময় বেশি লোকজন দেখে টাকা নিতে অনিহা প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে আমাকে মাওনা ওভারব্রিজের নিচে ফেলে চলে যায়।
নির্যাতণের শিকার আলীম উদ্দিন জানান, উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের হোসেন আলী সরকারের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যূ ও মামলাবাজ সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে বনবিভাগের জমি দখল, ভূমিদস্যূতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভালুকা মডেল থানা ও আদালতে ২০ টির অধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া তার ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বহুবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
নির্যাতণের শিকার আজিজুল হক জানান, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যূ ও মামলাবাজ সালাউদ্দিন সরকার আমাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে ও আমার উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর-২৪৯) রয়েছে। আমি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এ সময় ভূক্তভোগী মোকাদ্দস আলী খন্দকার, নুর মোহাম্মদ ও আলী হোসেন দাবি করেন, সালাউদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর করলেও থানায় তাদের মামলা নেয়নি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ, জুলফিকার, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আল আমীন, জাহিদুল, আজিজুল, মনিরুদ্দীন ওরফে মনো মেম্বার ও নায়েব আলী প্রমূখ।