স্বদেশ ডেস্ক:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী ভবিষ্যতের সম্পর্কের বিষয়ে একটি বিস্তৃত চুক্তি সম্পন্ন করতে একমত হতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। ব্রিটেন ৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পর এ চুক্তিতে আরো ১১ মাস সময় লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আলোচক মিশেল বার্নিয়ার গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।
৩১ জানুয়ারি ইইউ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আলোচনার কারণে নানাবিধ জটিলতার ফলে নতুন পক্ষের সাথে আলোচনার জন্য বছরের শেষ অবধি পর্যন্ত সময় থাকবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ব্রিটেন ডিসেম্বরের বাইরে এই আলোচনার জন্য অতিরিক্ত সময় বাড়িয়ে দেবে না।
মিশেল বার্নিয়ার স্টকহোমে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমরা ১১ মাসের মধ্যেই ব্রিটেনের সাথে সম্পাদিত মৌলিক চুক্তিটি কার্যকর করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে প্রস্তুত। তবে এই রাজনৈতিক ঘোষণার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের একমত হতে আরো সময়ের প্রয়োজন হবে।’
বার্নিয়ার বলেন, অত্যন্ত কঠোর সময়সীমার কারণে এই বিষয়টিকে আগামী মাসগুলোতে অগ্রাধিকার দিতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রভৃতি বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য প্রথমে দ্বিপক্ষীয়ভাবে ও পরে বৈশ্বিকভাবে ব্রিটেনের সাথে কাজ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইইউর একটি নতুন সক্ষমতা তৈরি করা হবে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার’।
তবে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে ব্রিটেনের সাথে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা সম্পর্কের অর্থ এই হবে যে সহযোগিতার স্তরটি বাধ্যতামূলকভাবে বর্তমানের চেয়ে কম হবে। সামাজিক, পরিবেশগত ও কর সম্পর্কিত ক্ষেত্রে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের প্রতি জোর দেবে ইইউ। সামাজিক ও পরিবেশগত মান নিয়ে প্রতিযোগিতা করলে কেবল এমন এক প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে যা শ্রমিক, গ্রাহক ও পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। সূত্র : রয়টার্স।