স্বদেশ ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে করা বিক্ষোভের জেরে ভারতের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে এ মাসে বিক্ষোভ শুরু হয়, আর পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে নিহত হয় ২৫ জন মানুষ। এ অবস্থায় সাত দেশ তার নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে সতর্কতাও জারি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরাইল, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও তাইওয়ান তার নাগরিকদের ভারত সফর থেকে বিরত থাকা অথবা যারা ভ্রমণ করছেন তাদেরকে বিক্ষোভরত এলাকাসমূহ সফরের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে।
এক হিসাবে দেখা গেছে, বিগত দুই সপ্তাহে প্রায় দুই লাখ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটক বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র তাজমহল সফর বাতিল করেছে।
উত্তর প্রদেশে তাজমহল এলাকার পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক দিনেশ কুমার জানান, তাজমহলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ডিসেম্বরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যটক হ্রাস পেয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অনেক ভারতীয় ও বিদেশি পর্যটক আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন দিয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি, তারপরেও তারা সফর থেকে দূরে থাকছেন। সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ভারতের উত্তর প্রদেশে সংঘর্ষ হয়েছে। যাতে কয়েকজন নিহত হন। তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত।
লন্ডনে বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ডেভ মিলিকিন, যিনি বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সফর করছেন। এই ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, এখানকার সংবাদপত্রের শিরোনাম দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। যে কারণে আমাদের টিমের সফর সংক্ষিপ্ত করছি।
বছরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ ভারতের আগ্রার তাজমহল পরিদর্শনে আসে। যা থেকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়। তাজমহল দেখতে বিদেশি নাগরিককে ১,১০০ রুপি এন্ট্রি ফি দিতে হয়।
তাজমহলের আশপাশের একাধিক বিলাস বহুল হোটেল ও গেস্ট হাউজের কর্মকর্তারা জানান, শেষ মুহূর্তে অনেকেই তাজমহল সফর বাতিল করছেন।
গত দুই সপ্তাহের সংষর্ঘের কারণে ভারতের আগ্রায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। আগ্রা ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সন্দ্বীপ আরোরা বলেন, ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা আগ্রা এলাকায় পর্যটন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।