শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন

রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে ছাত্রলীগের দুই কর্মী রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টা মামলার জড়িতদের অপকর্ম ঢাকতেই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ও অভিযুক্তদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ছাত্রলীগ কর্মী আকরাম হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগ কর্মী রুহুল আমিন, মশিউর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবদুল কাদের জিলানী। মানববন্ধন শেষে তারা ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে চিঠি দেন।

দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আবাসিক হলে বহিরাগতদের মাদক আড্ডা বন্ধ করা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার মূল হোতাকে শাস্তির আওতায় আনা, ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির নিশ্চিত ও এক পক্ষের তথ্য নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে মারধরের ঘটনায় রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে হামলায় জড়িত দুই ছাত্রলীগ কর্মী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলাম আসিফ লাক এবং বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন কবির নাহিদকে সাময়িক বহিষ্কার করেন প্রশাসন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলকার নায়েন ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসানুর রহমান। বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে সোহরাব মিয়াকে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ২৫৪ নাম্বার রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে মাথা ও হাতে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিবুল ইসলাম (আসিফ লাক) ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় পরদিন শনিবার ভূক্তভোগী সোহরাব হোসেন নিজে বাদী হয়ে রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক, হুমায়ুন কবির নাহিদ এবং আকিবুল ইসলাম রিফাতের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেদিন বিকেলে আকিবুল ইসলাম রিফাতকে গ্রেফতার জেলহাজতে প্রেরণ করে মতিহার থানা পুলিশ।

বাকিদের গ্রেফতার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ওই দুই আসামী এখন রাজশাহীর বাইরে অবস্থান করছে বলে জেনেছি। তার গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877