স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথা বলার অধিকার নেই। শনিবার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদ্স্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন তা নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের কথা বলার কোন অধিকার নেই। কারণ তিনি ডাক্তার নন। তিনি তার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলছেন। আপনারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ বাদ দিয়ে মানবিক হোন। সাধারণ একজন বন্দীরও সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। যেখানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন। আর এখন তিনি কারো সাহায্য ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। এটাতো বাস্তবতা। এটা কোন নতুন কথা নয়।
তিনি বলেন, কিন্তু এখন মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং জনগণকে প্রকৃত সত্য থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথায় অন্তত আমি বিস্মিত হয়েছি। তিনি যখন অসুস্থ হয়েছেন আমরা উনার খোঁজ খবর রেখেছি এবং রোগমুক্তি কামনা করেছি। তাই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রসিকতা করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের লক্ষণ নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই সরকার বর্তমান অভিযান চালাচ্ছে। সরকার ও তার মন্ত্রীরা জোরেসোরে বলছেন- শুদ্ধি অভিযান চলছে; কিন্তু আমরা মনে করি জাতীয় দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই এসব ছোটখাটো অভিযান চালানো হচ্ছে। সরকারের লোকেরা সরাসরি দুর্নীতির সাথে জড়িত। গ্রামীণফোন ও রবিতে সরকারি লোকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হবে।
সম্প্রতি ভারতের সাথে হওয়া চুক্তিগুলো খোলাসা করার আহবান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে যেসব চুক্তি হয়েছে এসব বিষয়ে জনগণ জানতে চায়। কী কী চুক্তি হয়েছে জনগণের কাছে প্রকাশ করুন। বারবার বলা হয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে; কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলো লক্ষ্য করছি না। আজকের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য কমিশন বরাবর চিঠি দেব।