স্বদেশ ডেস্ক:
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আশ্রয় দিলেও তার সব সম্পদ, অর্থ জব্দ করেছে রাশিয়া। এমনকি বাশার এবং তার পরিবার সদস্যদের চলাফেরার ওপরও আরোপ করা হয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। খোদ বাশারের ভাইকে করা হয়েছে বন্দী।
এদিকে মস্কোর জীবন নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরুদ্ধে তালাকের মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। তিনি লন্ডনে চলে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। তুর্কি ও আরব মিডিয়া এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আসমা রাশিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। একইসাথে তিনি মস্কো ত্যাগ করার অনুমতিও চাচ্ছেন। রুশ কর্তৃপক্ষ তার আবেদন যাচাই করে দেখছে।
আসমা হলেন ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিক। তিনি সিরিয়ান মা-বাবার সন্তান হিসেবে লন্ডনে বেড়ে ওঠেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। আসমা ২০০০ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ওই বছরই বাশারকে বিয়ে করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাশার আল-আসাদ মস্কোকে আশ্রয় লাভ করেন। সেখানে বসবাস করলেও তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাকে মস্কো ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়নি বা রাজনৈতিক কোনো তৎপরতা চালানো অনুমোদন করা হয়নি।
রুশ কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ ও অর্থ জব্দ করেছে। তার সম্পদের মধ্যে ছিল ২৭০ কোজি স্বর্ণ, ২ বিলিয়ন ডলার, মস্কোতে ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট।
বাশার আল-আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদকে রাশিয়ায় আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়নি। তার অনুরোধ এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সৌদি ও তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে। মাহের ও তার পরিবার রাশিয়ায় গৃহবন্দী রয়েছেন।
হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপের অভিযানে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ক্ষমতাচ্যুত হন বাশার আল-আসাদ। তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সিরিয়ায় বাথ পার্টি ক্ষমতায় ছিল ৬১ বছর।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট