শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না : নেতাকর্মীদের তারেক রহমান

অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না : নেতাকর্মীদের তারেক রহমান

স্বদেশ ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে বিজয়ের আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তবে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না। জনগণ পছন্দ করেন না এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

বুধবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেক রহমান বলেন, দেশেকে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করে মাফিয়া সরকারের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। স্বৈরাচারের ১৫ বছরের দুঃশাসনের কুফল এখনো জনগণকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের রক্তস্লাত বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পলাতক স্বৈরাচারের পরাজয় হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে, দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। মাফিয়া সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতা আকড়ে থাকার সময়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উগ্র রাষ্ট্র হিসেবে পরিজিত করার অপকৌশলে লিপ্ত ছিল। ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের অপশক্তি এখনো আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিজিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি অবশ্যই বাংলাদেশের পক্ষের সকল শক্তিকে সজাগ এবং সর্তক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে। একটি সরকারের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা মূল্যায়নের জন্য তিন মাস যথেষ্ট সময় নয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার বাজারে দ্রব্যমূল্যের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রতিদিন জনগণকে হার মানতে হয়। তিন মাস সময় তাদের (জনগণ) কাছে মনে হতে পারে তিন বছরের সমান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রমেরামত তথা প্রচলিত বিধি-বিধান সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যক্রম শুরু করেছে। সংস্কার একটি ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া। যা এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় বিএনপি ও সমাজের বহু মানুষ উল্লেখ করেছেন। বিএনপি সংস্কারের পক্ষে, তবে রাষ্ট্র্র কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রথিগত সংস্কারের চেয়ে জনগণের রাজনীতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিকদের দ্বারাই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। বর্তমান সংবিধানে আছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। সংবিধানে লেখা থাকার পরেও মাফিয়া সরকার মানেনি। গত ১৫ বছর জনগণের ভোট ছাড়াই, তথাকথিত জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষ অবলম্বন করতে দেখা গেছে। এজন্য জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কর্মী জনপ্রতিনিধি হতে চাইলে, জনগণের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা অর্জন করে ভোটের জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। প্রার্থীকে জনগণের আদালতে দ্বারস্ত হতে হবে। বিজয়ের জন্য জনগণের আদালতের রায় পেতে হবে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রে জনগণের আদালত ও রাষ্ট্রীয় আদালত এই দুটি কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে রাষ্ট্রীয় ও রাজনীতির উল্লেখযোগ্য সংষ্কার নিশ্চিত করা যাবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করুন। জনগণের সাথে থাকুন, সাথে রাখুন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ নিরপেক্ষভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ দিলে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়দল বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877