রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইশরাক ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা এবার বাধ্যতামূলক অবসরে ৪ ডিআইজি ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা বহিষ্কৃত সেই চাঁদাবাজ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪ ‘আজীবন আমার ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা’ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৭ বছর পর গ্রামের বাড়িতে বিএনপি নেতা বাবর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম
মধ্যরাতে বিশেষ পাহারায় সীমান্ত অতিক্রম করেন ওবায়দুল কাদের

মধ্যরাতে বিশেষ পাহারায় সীমান্ত অতিক্রম করেন ওবায়দুল কাদের

স্বদেশ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এরই মধ্যে অনেকে গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। দালাল ও ইমিগ্রেশনকে ‘ম্যানেজ’ করে পালাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার কেউ কেউ গ্রেপ্তারও হচ্ছেন। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ছাড়া অধিকাংশ ব্যক্তি দেশ ছাড়ার জন্য ভারত সীমান্ত বেছে নিয়েছেন। দেশত্যাগের জন্য তারা যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিলেট, দিনাজপুরের হিলি ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত ব্যবহার করেছেন। তাদের পারাপারের কাজে বিভিন্ন সীমান্তে গড়ে উঠেছে একাধিক চক্র। এ চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালীদের পার করে দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে  এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দৈনিক যুগান্তর।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট মধ্যরাতে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে চলে যান। সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরদিন তিনি বিশেষ প্রহরায় সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে জানিয়েছেন যশোর ও বেনাপোলের বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র। তবে তারা পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

তবে বেনাপোল ছাড়াও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা পার্শ্ববর্তী পুটখালী ঘাট এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকেন। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ভারতে পালাতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না। ভারতীয় অংশের দালালরা একা পেয়ে নির্যাতনের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকদিন পড়ে থাকার পর পান্নার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দালালদের সহায়তায় একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতা ভারতে পালাতে সক্ষম হওয়ায় স্থানীয়দের অনেকে ক্ষুব্ধ। এ কারণে এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখে সন্দেহ হলে তাদের ধরে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877