রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

বিদ্যুতের মূল্য বাবদ ভারতকে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দেবে বাংলাদেশ

বিদ্যুতের মূল্য বাবদ ভারতকে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দেবে বাংলাদেশ

স্বদেশ ডেস্ক:

ব্রিটিশ মিডিয়া ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ডলার সংগ্রহে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ডলার সঙ্কটের কারণে। ইউক্রেনে ২০২২ সালের যুদ্ধের পর থেকে ব্যয়বহুল জ্বালানি ও পণ্য আমদানির কারণে বাংলাদেশ তার বিল পরিশোধ করতে সংগ্রাম করছে, এখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ সঙ্কট আরো কঠিন হয়েছে। তবে শিগগিরই বাংলাদেশ বিদ্যুতের মূল্য বাবদ ভারতকে ২৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ তার ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে জরুরিভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা চাইছে এবং এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মূল সুদের হার বাড়িয়েছে। গত বছর, দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ’র কাছে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেন, ‘বকেয়া অর্থ পরিশোধের চেষ্টা চলছে, কিন্তু বর্তমান ডলার সঙ্কট প্রক্রিয়াটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে জটিল করে তুলছে। ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়ার মধ্যে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে আদানি পাওয়ারের কাছে।’

পিটিসি ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন তার কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের বিপিডিবি’র সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরির পর ২০২২ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। বিদ্যুতের বকেয়া বাবদ ২৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে চিঠিও দেয়া হয়েছে। বকেয়া না পেয়ে তারা অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ তার চাহিদার ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে, গত ৮ থেকে ৯ মাস ধরে বিদ্যুতের জন্য অর্থ পরিশোধ করেনি। ২০১৮ সালে আরেক ভারতীয় কোম্পানি এসইআইএল ১৫ বছর মেয়াদে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে একটি চুক্তি করে। এ কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে, আমরা আশাবাদী যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চুক্তির শর্তাবলি বহাল রেখে বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করবে। এসইআইএল এবং পিটিসি ইন্ডিয়ার বাংলাদেশের সাথে যথাক্রমে ৩৪.১ মিলিয়ন ও ৩০.৭ মিলিয়নের বিদ্যুৎ চুক্তি সম্পর্কিত ব্যাংক গ্যারান্টি রয়েছে। যদি দ্রুত বাংলাদেশ এসব অর্থ পরিশোধ না করে তা হলে তারা ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো নগদ অর্থে ভাঙিয়ে নিতে পারে।

এ দিকে বাংলাদেশের রূপালী ব্যাংক ও বিপিডিবি ভারতীয় কোম্পনিগুলোকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহে কাজ করছে। খুব শিগগিরই ২৭০ মিলিয়ন ডলার ভারতের কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877