স্বদেশ ডেস্ক: বিশাখাপত্তনমে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি। আবার রাঁচিতে টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান। এক সিরিজে তিন-তিনটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোহিত শর্মা প্রমাণ করে দিয়েছেন শুধু ওয়ানডে নয়, টেস্টেও তিনি হিটম্যান। শচীন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র শেহওয়াগের পর তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডে-তে ডাবল সেঞ্চুরির নজির গড়া রোহিতই হয়ে গিয়েছেন গান্ধী-ম্যান্ডেলা সিরিজের সেরা। পুরস্কার হাতে নিয়েই কোহলি-শাস্ত্রী-সহ গোটা টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানালেন মুম্বইকর। চতুর্থ দিনের শুরুতেই এক ইনিংস ও ২০২ রানে রাঁচি টেস্ট পকেটে পোরে টিম ইন্ডিয়া। যা প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। সেই সঙ্গে টেস্টে এই প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইট ওয়াশও করলেন কোহলিরা। আর সেই সিরিজে ওপেন করে সাফল্য পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত রোহিত। বলছেন, “ওপেন করতে দেওয়ায় আমি ম্যানেজমেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ। কীভাবে নতুন বলের সম্মুখীন হতে হয়, সে বিষয়ে অনেক কিছু শিখলাম। নতুন বলের সামনে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আশা করে এভাবেই এগিয়ে যেতে পারব। ২০১৩ সালে সাদা বলে প্রথম ওপেন করেছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম, ইনিংসের শুরুতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাতেই সাফল্য আসে। আমার আশা, বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রেখে খেললে ওপেনার হিসেবে দলকে অনেক কিছু দিতে পারব। আর কোহলি ও শাস্ত্রীর সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ।” টেস্টে প্রথমবার দ্বিশতরান করেও আপ¬ুত রোহিত। বলেই দিলেন, “এধরনের ইনিংসই তো ভাল খেলার ইচ্ছে তৈরি করে।” এদিন ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করে গেলেন ঘরের ছেলে মহেন্দ্র সিং ধোনিও।
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কোহলি-রোহিত অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন আর কারও অজানা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াটইওয়াশ করার পর কি খানিকটা হলেও সেই ছবিটা বদলাল? এখনই বলা মুশকিল। কারণ রোহিত প্রকাশ্যে মন খুলে অধিনায়ককে কৃতজ্ঞতা জানালেও কোহলি আলাদা করে কিন্তু রোহিতের প্রশংসা করলেন না। বরং ম্যাচ শেষে জয়ের কৃতিত্ব সবার মধ্যে ভাগ করে দিলেন। বিশেষ করে বোলারদের প্রশংসা শোনা গেল নেতার গলায়। তবে পোড় খাওয়া দুই তারকা যে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রভাব কোনওভাবেই বাইশ গজে ফেলতে দেবেন না, তা ব্যাট হাতে এবং নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন রোহিত ও কোহলি।