স্বদেশ ডেস্ক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিবির মনে করে সাবেক এক শিক্ষার্থীসহ দুজনকে আটকের কথা জানিয়েছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে একজন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদ শরীফ। তিনি সরাসরি শিবিরের সাথে যুক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে দাবি প্রক্টরিয়াল বডির।
প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত মশাল মিছিলে শিবির ও ছাত্রদল অংশ নেবে বলে তথ্য পেয়ে আমরা সারা দিন ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ করতে থাকি। সন্ধ্যায় মিছিলটি চৌরঙ্গী এলে দুজনকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলসহ আটক করি।’
‘আটকের পর তাদের মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে শিবির সংশ্লিষ্ট একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। চলমান আন্দোলনে কারা টাকা দেয় তার প্রমাণ মোবাইলে পাওয়া গেছে। এছাড়া, কোন কোন শিক্ষক টাকা দেয় সে তথ্যসহ বিদেশ থেকে তাদের সাথে কারা যোগাযোগ করেন তারও প্রমাণ মিলেছে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রক্টর ফিরোজ আরো দাবি করেন, ভোলার ঘটনায় কীভাবে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করা যায় তার কথোপকথনও আটকদের কাছে আছে। এছাড়া তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা সাথীদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তারা সাভারের একটি কোচিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট।
এদিকে, সাদ শরীফ বলেন, ‘আমি কোনো সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নই। চৌরঙ্গী এলাকা থেকে কয়েকজন শিক্ষক আমাদের আটক করেন। ক্যাম্পাসের আন্দোলনের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
আর আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারেক রেজা বলেন, ‘আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য ভিসি ও তার অনুগত শিক্ষকরা জজ মিয়ার মতো নাটক সাজিয়েছেন। আমাদের আন্দোলনে সাথে আটকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আটক দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আশুলিয়া থানায় মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি