স্বদেশ ডেস্ক:
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হচ্ছেন না। দুদকে হাজির হওয়ার জন্য তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।
বেনজীর আহমেদ আগামীকাল দুদকে হাজির হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহুরুল হক বলেন, ‘আমি সঠিকভাবে জানি না। তবে শুনতে পেরেছি, তিনি (বেনজীর) সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। যদিও এটা অনুসন্ধান টিমের বিষয় নয়, এটা তাদের বিষয়। তারা ভালো জানবেন। কারণ এ বিষয়টি কমিশন পর্যন্ত আসে না।’
সময় চাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আইনে সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে।’
সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে সাবেক আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়া তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।