স্বদেশ ডেস্ক: সোমবারই সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। হাসিমুখেই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে না পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তিনি। শুরুতে দৃশ্যপটে না থাকলেও রোববার রাতে চলে আসে তার নাম। এভাবে আচমকা ভারতীয় ক্রিকেটের শীর্ষ চেয়ারে বসতে পারায় খুশি প্রিন্স অব ক্যালকাটা। দ্বায়িত্বটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন তিনি। দ্বায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই সাবেক এই অধিনায়ক জানাচ্ছিলেন, ‘গত কয়েক বছরে বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পেরে আমি খুশি। কিছু করার দারুণ সুযোগ এসেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক বা অন্য ভাবেই হোক, এটি বড় দায়িত্ব। বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা। ভারত হল ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস। সভাপতির দায়িত্ব রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।’ এমনিতে বলা হচ্ছিল ব্রিজেশ প্যাটেলই হতে যাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু রোববার রাতে নাটকীয়ভাবে মোড় ঘুরিয়ে দিলেন খোদ সৌরভ গাঙ্গুলি। অবশ্য বলা হচ্ছে ২০২১ সালের বিধান সভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকেই তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ! তবে সৌরভ এনিয়ে সাফ বলেন দিলেন, ‘না, একেবারেই এমন কিছু নয়। কেউ এই ব্যাপারে আমায় কিছু বলেনি।’ তবে এটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে সৌরভের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এমন কী নয়াদিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতও হয়েছে সৌরভের। তবে অভিনন্দন জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখেছেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন সৌরভকে। তুমি ভারত ও বাংলাকে গর্বিত করেছো। একটা দুর্দান্ত ইনিংসের অপেক্ষায় থাকলাম তোমার।’এর আগে মাথা উঁচু করেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের। অধিনায়ক থেকে এবার বোর্ড প্রেসিডেন্ট। কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন দাদা? এমন প্রশ্নের মুখে সোজা ব্যাট করলেন সৌরভ বললেন, ‘দেখুন, দেশের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারই আলাদা। তারসঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না। তবে আমি কখনও ভাবিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে পারব।’ ৪৭ বছর বয়সী সৌরভই হবেন ভারতের কনিষ্ঠতম বোর্ড প্রেসিডেন্ট। ২৩ অক্টোবর অফিসিয়ালি দ্বায়িত্ব বুঝে পাবেন তিনি।