স্বদেশ ডেস্ক:
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আগের রাতে অন্তত ৩১টি ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। এতে চার শিশুসহ ১৭ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ভবন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
রুশ সামরিক বাহিনী প্রায় ৪৪ দিনের মাথায় ইউক্রেনীয় রাজধানী শহরে বড় রকমের হামলা চালালো। মূলত রুশ সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ নিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ঝড় তুলেছে রাশিয়া।
কিয়েভ সিটির সামরিক প্রশাসক সেরহি পপকো বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে কিয়েভ শহরটিকে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া।
পপকো বলেন, ভোরের কিছুক্ষণ আগে কিয়েভ জুড়ে বেশ কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কিয়েভের আকাশে তখন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রকেটগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করছিল।
টেলিগ্রাম বার্তায় পপকো বলেন, কিয়েভের পোডিলস্কি, শেভচেনকিভস্কি ও সোভিয়াটোশিন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার, বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন এবং কয়েকটি গাড়ির ছাদে আগুন লেগেছে।
কিয়েভের বাসিন্দা তেতিয়ানা বলেন, বাড়িঘরের ওপর দিয়ে যেন ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি হচ্ছিল। ধ্বংসাবশেষ পড়ে গাড়িগুলো জ্বলছিল, সবকিছু বিস্ফোরিত হচ্ছিল।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও সামরিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিশেষ করে ইউক্রেনকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর জন্য পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
কিয়েভে হামলার পর টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার এ ধরনের সন্ত্রাস প্রতিদিন ও রাতে চলতে থাকে। ইউক্রেনের এখন সুরক্ষার প্রয়োজন। বৈশ্বিক ঐক্যই পারে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহায়তা দিয়ে রুশ সন্ত্রাস থামাতে। মিত্রদের একটু রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এটি সম্ভব।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার সীমান্ত শহর বেলগোরোডে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায চালিয়েছে। বেলগোরোডের আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় সপ্তাহজুড়ে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৯৮ জন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের এসব হামলার জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে শাস্তি পেতে হবে এবং হামলার শক্ত জবাব দেওয়া হবে। এর আগের দিন বুধবার খারকিভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়।