স্বদেশ ডেস্ক:
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দূত গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সাথে বৈঠক করেছে। কাতারে হয় এই বৈঠক। ৭ অক্টোবরের পর এই প্রথম কোনো হামাস নেতার সাথে প্রকাশ্যে চীনা কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলো।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, দূত ওয়াং ওয়াং কেজিয়ান রোববার হানিয়ার সাথে সাক্ষাত করেছেন। তারা ‘গাজা সঙ্ঘাত এবং অন্যান্য ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।’
গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর এটাই বেইজিং ও হামাসের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য যোগাযোগ।
এদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি সকল দলকে ‘অভ্যন্তরীণ পুনঃমিলনের জন্য’ সংলাপে বসার আহ্বান জানান।
তিনি মোহাম্মদ মোস্তফা নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, চীন ‘বর্ধিত ক্ষমতায়’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ‘সমর্থন করে’।
তিনি বলেন, বেইজিং ফিলিস্তিনের সব দলকে আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে পুনঃমিলনের আহ্বান জানায়।
গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আল-শিফা হাসপাতালে যা হয়েছে, তা গাজার মানবিক সঙ্কটকেই ফুটিয়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা, সর্বোচ্চ প্রয়াসে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, হতাহত এড়ানো এবং মানবিক সঙ্কট দূর করা।
ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কেএএন জানিয়েছে, আল-শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে হামলার পর প্রায় ৮০ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর