রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

যে কারণে অভিশ্রুতির মরদেহ হস্তান্তরে জটিলতা

যে কারণে অভিশ্রুতির মরদেহ হস্তান্তরে জটিলতা

স্বদেশ ডেস্ক:

বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী— এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।তাই লাশ নিতে এসে বিপাকে পড়েছেন তার বাবা। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত তার লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। ডিএনএ পরীক্ষার পর অভিভাবকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া।

বৃষ্টির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার লাশটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে।

বৃষ্টি ওরফে অভিশ্রুতির সহকর্মীরা দাবি করেন, তিনি দ্য রিপোর্ট অনলাইন পোর্টালের ইলেকশন কমিশন বিটের রিপোর্টার। এই নামেই সবাই চেনেন তাকে। অন্য একটি অফিসে যে সিভি পাঠিয়েছিলেন সেখানেও তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

বৃষ্টি ওরফে অভিশ্রুতির বাবা শাবলুল আলম সবুজ জানান, তিন বোনের মধ্যে বৃষ্টি বড়। তিনি লাশ বুঝে নিতে ঢাকায় রয়েছেন। রাতে লাশ দেওয়া হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। বৃষ্টির লাশ নিয়ে তিনি কুষ্টিয়ার বাড়িতে ফিরবেন। সেখানে বৃষ্টির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে আসছেন।

সবুজ বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রকৃত নাম মোছা. বৃষ্টি খাতুন। সে লেখালেখি করে- সেজন্য তাকে সবাই অভিশ্রুতি নামে ডাকে বলে সে জানিয়েছিল। বৃষ্টি ইডেন কলেজের দর্শন বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধোয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বৃষ্টির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।

২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসাবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তার একই রকম তথ্য আছে।

২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্ম নিবন্ধন সনদে আছে নাম অভিশ্রুতি লেখা হলেও বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম।

অন্যদিকে, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী লিখেছেন তিনি। তবে, বাবার নাম লেখা হয়েছে সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী।

জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং জন্ম বৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

অভিশ্রুতির সাবেক কর্মস্থল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের চিফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, চাকরির বায়োডাটায় তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সবুজ শেখই অভিশ্রুতির বাবা এবং বিউটি বেগমই তার মা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877