স্বদেশ ডেস্ক:
অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য (বিজিপি), শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত থেকে বিজিবির কড়া পাহারায় কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাটে তাদের নিয়ে আসা হয়।
বিজিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। ইনানী জেটিঘাট থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।এ সময় তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় ঘুমধুমের একটি স্কুলে। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় দেশটি।