স্বদেশ ডেস্ক:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
এ সময় তিনি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। যা দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে ওই সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে বাংলাদেশিরাও আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গত সোমবার ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘মিয়ানমারের২৬৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে যান বিজিবি মহাপরিচালক। এরপর তিনি সেখান থেকে তমব্রু বিওপিতে যান তিনি। সেখানে তিনি সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি যান ঘুমধুম সীমান্তে। সেখানে তিনি সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।