স্বদেশ ডেস্ক:
বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এ অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চান না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমরা এখানে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চাই না। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও যেখানে আমরা প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে পাই, সেখানে সমস্যা রয়ে গেছে। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হতে পারে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে এবং অন্যান্য দেশ তা স্বীকার করেছে। ‘এটা আমাদের জন্য ভালো।’
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব দেশ এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইরের চাপ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, তারা কখনো কোনো চাপ অনুভব করেননি। তবে তারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চান।
ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব দেশের সাথে আমাদের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে শুরু করে তারা।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সমর্থন করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ভারতের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছি এবং দুই দেশ তাদের সম্পর্কের একটি সোনালি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) আমাদের একটি বড় বাজার।’
বিএনপি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এটি গণতান্ত্রিক দল নয়। এটি সন্ত্রাসীদের দল। ‘সন্ত্রাসীদের কেউ পছন্দ করে না। তাদের পরিপক্কতার অভাব রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চান এবং গণতন্ত্রের ধ্বংস চান না। ‘আমরা সন্ত্রাস চাই না। এটাই পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য। আমরা তাদের সাথে আছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে তা তারা দেখাতে চায়। ‘আমরাই একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে আসা উচিত এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি হব যদি তারা সত্যিকার অর্থেই যারা নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটাবে তাদের জন্য ভিসানীতি প্রয়োগ করে। তবে এটা তাদের ব্যাপার।’
ড. মোমেন বলেন, তারা (বিএনপি) সন্ত্রাসী, যদিও তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। ‘সন্ত্রাসীদের কেউ পছন্দ করে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই এবং এবার নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী। তিনি সবাইকে এগিয়ে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান রফতানি, বিনিয়োগের সুযোগ ও সঠিক পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ অনেকের কাছে আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।’
সূত্র : ইউএনবি