স্বদেশ ডেস্ক:
‘শি ইয়ান ৬’-এর পর এবার ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার এখন পর্যন্ত নোঙর করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়নি। কিন্তু নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে চীনা গুপ্তচর জাহাজ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ভারত মহাসাগরে ঢোকার জন্য মালাক্কা প্রণালীর দিকে যাত্রা শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কা ঘুরে ওই জাহাজটি ভারতের পড়শি আর এক দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপেও নোঙর করবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপকে চীনা গুপ্তচর জাহাজকে তাদের বন্দরে ভিড়তে না দেয়ার ‘বার্তা’ পাঠানো হয়েছে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে। তবে তাতে ‘কাজ’ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কূটনৈতিক এবং পর্যবেক্ষকদের একাংশের মনে। এর আগে ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ‘শি ইয়ান ৬’, ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’-এর মতো চীনা নৌবাহিনীর গুপ্তচর জাহাজকে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল কলম্বো।
অন্য দিকে, মালদ্বীপ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সূচনা অক্টোবরে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই সে দেশের ‘চীনপন্থী নেতা’ মোহম্মদ মুইজ্জু ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মালদ্বীপ ছাড়তে বলেছিলেন। ভারতীয়রা মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে চীনা চর জাহাজের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক।
সরকারিভাবে বেইজিং অবশ্য গুপ্তচর জাহাজের অস্তিত্বই স্বীকার করেনি। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের দাবি, আগামী ৫ জানুয়ারি থেতে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে ‘গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা’র কাজে যুক্ত থাকবে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা